Class 7 Hinduism 1st Week Assignment is read for download. Welcome all students to our website. Hope everyone is enjoying the Assignment. Since the situation has not returned to normal, the Ministry of Education has re-introduced the Assignment. Based on the assignment of the last year, the merit of the students is verified and passed to the next class. However, if the situation is normal this year, the students will take the test.
However, since the situation is not normal yet, assignment is being taken to facilitate the continuation of studies. This year the assignment will last for 21 weeks. We will present you with questions and solutions every week, so follow our website regularly without any worries. Below we provide 1st, 7th, 14th, 19th Class 7 Hindu Dhormo Nirdharito Kaj Solution.
৭ম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ১ম সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ: ০১
- অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম: প্রথম অধ্যায়: ঈশ্বরের স্বরূপ
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু: পাঠ-১: স্রষ্টা ও ঈশ্বর শব্দের অর্থ পাঠ-২ ও ৩ : ঈশ্বরের স্বরূপ: নিরাকার ও সাকার পাঠ-৪ ও ৫: ঈশ্বরের একত্ব পাঠ-৬: ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার শ্লোক - এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ: ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ- যুক্তি বিশ্লেষণ পূর্বক ব্যাখ্যা কর।
- নির্দেশনা: ১। ঈশ্বর সম্পর্কিত বিভিন্ন। বাণী, মন্ত্র-শ্লোক উল্লেখ করার সময় উজ্জ্বল কালি ব্যবহার করতে পারাে। ২। প্রয়ােজনে ছবি, চিত্র ও ইন্টারনেট থেকে দেবদেবীর ছবি আপলােড করা যেতে পারে। ৩। প্রয়ােজনে গুরুজনদের সাহায্য নিতে পারাে। ৪। প্রয়ােজনে নিজের পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত অন্য সহায়ক বই (উপরের/নিচের শ্রেণির) সাহায্য নেয়া যেতে পারে। ৫। পাঠ্যপুস্তকের প্রতিটি পাঠ ভালাে ভাবে পড়তে হবে। ৬। বানান ও বাক্য গঠনে সচেতন হতে হবে। ৭। উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য আনতে হবে।
মূল্যায়ন রুব্রিক্স
অতি উত্তম:
১। পরিপূর্ণমাত্রায় বিষয়বস্তুর যথার্থতা রক্ষা।
২। সঠিক তথ্যসহ উপস্থাপন
৩। উপস্থাপনায় লক্ষণীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
৪। লক্ষণীয় মাত্রায় নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপন।
৫। বানান ও বাক্য গঠন সঠিক ভাবে উপস্থাপন
উত্তম:
১। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর যথার্থতা রক্ষা
২। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্যসহ উপস্থাপন
৩। উপস্থাপনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা।
৪। নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপন।
৫। অধিকাংশ বানান ও বাক্য গঠন সঠিক ভাবে উপস্থাপন।
ভালাে:
১। বিষয়বস্তুর যথার্থতার অভাব
২। আংশিক তথ্যসহ উপস্থাপন
৩। উপস্থাপনায় আংশিক নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
৪। আংশিক নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপন।
৫। সল্প সংখ্যক বানান ও বাক্য গঠন সঠিক ভাবে উপস্থাপন
অগ্রগতি প্রয়ােজন:
১। বিষয়বস্তুর যথার্থতার অভাব।
২। কম তথ্যসহ উপস্থাপন।
৩। উপস্থাপনায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব
৪। নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপনের অভাব
Class 7 Hinduism 1st Week Assignment 2022 With Answer
উত্তরঃ নিচের ৬ষ্ঠ শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইমেন্ট এর ১০০% সঠিক সমাধান দেওয়া হলো।
ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ।”- নিচে উক্তিটির যর্থাথতা বিশ্লেষণ করা হলাে :- ঈশ্বর অর্থ প্রভু। তিনি সর্বশক্তিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি সব কিছুর নিয়ন্তা। জীব ও জগতের ওপর তিনি প্রভুত্ব করেন বলে তাকে ঈশ্বর বলা হয়। তিনিই সকল শক্তি ও গুণের আধার। তাঁর আদি নেই, তাই তিনি অনাদি। তাঁর অন্ত নেই, তাই তিনি অনন্ত। তাঁর বিনাশ নেই, তাই তিনি অবিনশ্বর। তিনি নিজেকে নিজেই সৃষ্টি করেছেন, তাই তাকে স্বয়ম্ভ বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়। তিনি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংসকর্তা। তিনিই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। ঈশ্বরের অনন্ত গুণ, অনন্ত রূপ, অনন্ত ভাব এবং বিচিত্র তার লীলা।
জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্রহ্ম, যােগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান। হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে ঈশ্বরতত্ত্ব। এই বৈশিষ্ট্য দ্বারা বােঝানাে হয়েছে ঈশ্বর নিরাকার। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তবে তিনি প্রয়ােজনে সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সাকার রূপ ধরে তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। তখন তাঁকে অবতার বলা হয়।যখনই ধর্মের গ্লানি উপস্থিত হয় অথ্যা অন্যায় অবিচারে বিপর্যস্ত হয় মানবজীবন এবং অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে তখন। ঈশ্বর কোনাে না কোনাে রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। যেমন- দ্বাপর যুগে ঈশ্বর বা ভগবান স্বয়ং কৃষ্ণরূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন।অন্যান্য অবতারও ঈশ্বরেরই অংশ। আর শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার। আর তাইতাে বলা হয়েছে ‘কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্’- অথ্যাৎ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান। বিভিন্ন দেব-দেবী এক ঈশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ বা ক্ষমতার প্রকাশ মাত্র।
এই এক ঈশ্বরকেই আমরা বিভিন্ন নামে অভিহিত করি। অথ্যাৎ দেব-দেবীরা ঈশ্বরের এক বিশেষ গুণ বা শক্তির সাকার রূপ। যেমন- ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণুরূপে ঈশ্বর জীবজগৎকে রক্ষা ও প্রতিপালন করেন, শিবরূপে তিনি ধ্বংস করে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করেন। অপরদিকে দুর্গা শক্তির দেবী, সরস্বতী বিদ্যার দেবী, লক্ষী ধন-সম্পদের দেবী ইত্যাদি। আবার, ঈশ্বর যখন জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন তখন তাকে জীবাত্মা। বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন – “সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর ” আমার মধ্যে তােমার প্রকাশ তাই এত মধুর।অথ্যাৎ দেহের সীমায় জীবাত্মারূপে পরমাত্মা বা ঈশ্বর বিদ্যমান থাকেন। সুতরাং বলা যায়- ঈশ্বর নিরাকার; তিনি সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সব সাকার রূপই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র। ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার ।