পরিবার ও সমাজে জাতি, প্রথা, গােত্র, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে কিছু বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।

Class 8 Buddhism Assignment Answer, Government Assignment, Buddhism Assignment, DHSE Gov bd Assignment, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এ্যাসাইমেন্ট, ৮ম শ্রেণির এ্যাসাইমেন্ট, ৮ম শ্রেণির বৌদ্ধধর্ম এ্যাসাইমেন্ট সমাধান, এ্যাসাইমেন্ট ১০০% সঠিক উত্তর, 1st Week Class 8 Buddhism Assignment Answer 2021, Class 8 Buddhism Assignment Solution (1st Week) DSHE Assignment 2021

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ও মূল্যায়ন নির্দেশ শ্রেণি: ৮ম

Assignment Info

Assessment-Concept

Answer

  • এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ: ০১
  • অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম: প্রথম অধ্যায়: ঈশ্বরের স্বরূপ
  • পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু: পাঠ :১ বুদ্ধের সাম্যনীতি পাঠ: ২ বুদ্ধের সাম্যনীতির প্রয়ােগ পাঠ: ৩ বৌদ্ধ সাম্যনীতির সামাজিক প্রভাব
  • এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ: পরিবার ও সমাজে জাতি, প্রথা, গােত্র, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে কিছু বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। কন্যা সন্তানরাও এখনাে সমাজে অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার। তাই বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গৌতম বুদ্ধ সাম্যনীতির অগ্রাধিকার দেন। উপরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিচের সংকেত অনুসরণ করে প্রতিবেদন আকারে লিখ।
  • নির্দেশনা: ১. পাঠ্যপুস্তকের আলােকে বিষয়ের প্রথম অধ্যায়ের পাঠ ১, ৩ এর সহযােগীতা গ্রহন করা যেতে পারে। ২. পরিবারের সদস্যদের সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলােকে তথ্য গ্রহণ করতে পারবে। ৩. শিক্ষকের কাছ থেকে টেলিফোন/মােবাইল/ অনলাইনের মাধ্যমে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবে। ৪.প্রয়ােজনে ইন্টারনেট থেকে সাহায্য নিতে পারবে। ৫. স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিবেশী/কাজের লােক বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের সাথে পরামর্শ নিতে পারবে।

1st Week Class 8 Buddhism Assignment Answer 2021

3

প্রশ্ন: উপরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিচের সংকেত অনুসরণ করে প্রতিবেদন আকারে লিখ।

পরিবার ও সমাজে জাতি, প্রথা, গােত্র, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে কিছু বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। কন্যা সন্তানরাও এখনাে সমাজে অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার। তাই বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গৌতম বুদ্ধ সাম্যনীতির অগ্রাধিকার দেন। উপরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিচের সংকেত অনুসরণ করে প্রতিবেদন আকারে লিখ। (৩০০ শব্দের মধ্যে)।

সংকেত:

ক. বুদ্ধের সাম্যনীতি

খ. তােমার দেখা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবী মানুষের মধ্যে বৈষম্য।

গ. বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলােকে তােমার দেখা কন্যা সন্তানদের বৈষম্যের স্বীকার এরুপ একটি ঘটনা।

ঘ, বুদ্ধের সাম্যনীতির আলােকে সামাজিক বৈষম্য দূর করার উপায়গুলাের তালিকা।

Solve-Share

উত্তরঃ নিচের ৮ম শ্রেণির বৌদ্ধধর্ম ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইমেন্ট এর ১০০% সঠিক সমাধান দেওয়া হলো।

আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ হিমালয়ের পাদদেশে কপিলাবস্তু (বর্তমান নেপাল) নামক রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের পর থেকে তিনি বুদ্ধ নামে অভিহিত হন। তিনি সুদীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছর ধর্ম প্রচার করে আশি বছর বয়সে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। তার সময়কালে সমাজজীবনে জাতিভেদ প্রথা ও বর্ণ বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছিল। এ সামাজিক বৈষম্যগুলাে দূর করার জন্য তিনি তাঁর ধর্মে সাম্যনীতিকে অগ্রাধিকার দেন। বৌদ্ধধর্ম মতে, সাম্যনীতি হচ্ছে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মৌলিক ভিত্তি । সকল প্রকার দুঃখ, বৈষম্য, অন্যায়, অবিচার, ঘৃণা, সংঘাত প্রভৃতি বিদূরিত করার প্রধান অস্ত্র হচ্ছে সাম্যনীতি । তাই সমাজে সাম্যনীতির প্রয়ােগ অপরিহার্য।

সাম্যনীতির কারণেই বৌদ্ধধর্ম ভারতবর্ষের সীমারেখা অতিক্রম করে সমগ্র বিশ্বে প্রসারিত হয়েছে। এজন্য কোনাে যুদ্ধ বা রক্তপাত ঘটেনি। বুদ্ধের সাম্যনীতি মানুষকে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিক্ষা দেয় । অপরের অভিমত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সহিষ্ণু হতে শেখায়। জাতি, বর্ণ, গােত্র নির্বিশেষে সকল বৈষম্য ও বিভাজন বিদূরিত করে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেন। এ আদর্শকে বিকশিত করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধ প্রথমেই ভিক্ষুসঙ্ প্রতিষ্ঠায় সাম্যনীতির প্রয়ােগ করেন। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত সম্মে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে প্রবেশাধিকার দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বুদ্ধ মহা-উপাসিকা বিশাখা নির্মিত শ্রাবস্তীর পূর্বারামে অবস্থান করার সময় ফর্মা-১, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা-অষ্টম শ্রেণি

বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা

ভিক্ষুসকে উপলক্ষ করে বলেন: “ভিক্ষুগণ! গঙ্গা, যমুনা, অচিরাবতী, সরভূ ইত্যাদি নদী সমুদ্রে মিলিত হয়ে তাদের স্বতন্ত্র সত্ত্বা ও নাম হারিয়ে ফেলে, তেমনি ক্ষত্রিয়, ব্রাহ্মণ, বৈশ্য এবং শূদ্র আমার ধর্মে প্রবেশ করে জাতি, গােত্র ও নাম হারিয়ে ফেলে। এখানে সকল মানুষ সমান।’ উপরের বাণী থেকে বােঝা যায়, বুদ্ধ প্রতিষ্ঠিত সঙ্ সকল পেশাজীবী মানুষের জন্য উন্মুক্ত। এখানে উল্লেখ্য যে, বুদ্ধের সময়কালে সমাজে জাতিভেদ প্রথা প্রবল ছিল। তখন চণ্ডাল, মেথর, মুচি প্রভৃতি পেশায় নিয়ােজিতদের নিম্নবর্ণ হিসেবে অভিহিত করা হতাে। এরা অস্পৃশ্য ছিল এবং অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করত। তারা সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারত না। ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা গ্রহণের অধিকার হতে বঞ্চিত ছিল। তারা ঘৃণিত ছিল এবং অন্যরা তাদের স্পর্শ থেকে দূরে থাকত ।

কিন্তু বুদ্ধশিষ্য ভিক্ষু আনন্দ চণ্ডাল কন্যার হাত থেকে পানি পান করে সেই সংস্কারের মূলে কুঠারাঘাত করেন। এমন কি বুদ্ধ বৈশালীর বারবণিতা আম্রপালির নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে সমাজে তার মানবিক অবস্থানকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। সুনিপাত গ্রন্থের বসল সূত্র পাঠে জানা যায় যে, মাতঙ্গ ছিল জন্মসূত্রে এক চণ্ডাল পুত্র। পরবর্তীতে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করে সকল প্রকার লােভ দ্বেষ-মােহ, তৃষ্ণা ও কামরাগ পরিত্যাগ করে শীল, সমাধি প্রজ্ঞা অনুশীলনপূর্বক দুর্লভ শ্রেষ্ঠ কীর্তি অৰ্হত্ব ফল প্রাপ্ত হন। তখন তার সেবা ও পরিচর্যা করার জন্য অনেক ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় পুত্র নিয়ােজিত হয়েছিলেন। এ সূত্রে আরাে উল্লেখ আছে যে, ক্ষত্রিয় ও ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেও অনেকে পাপকার্যে লিপ্ত থাকত। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, আধ্যাত্মিকতায় কিংবা অৰ্হত্ব বা নির্বাণ লাভের জন্য জাতি, গােত্র, বর্ণ যেমন প্রতিবন্ধক নয় তেমনি সহায়কও নয় । কুশল-অকুশল কর্মই মানুষের পরিচয় নির্ধারণ করে। ত্রিপিটকের সুনিপাত গ্রন্থের ‘বসল সূত্রে বুদ্ধ বলেছেন:

বুধ্বে সাম্যনীতি

বাসেঠ সূত্রে বুদ্ধ এ প্রসঙ্গে আরাে বলেছেন, জাতি হিসেবে মানুষে মানুষে কোনাে ভেদাভেদ নেই। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্রের পদচিহ্ন একই রূপ। হাতি, ঘােড়া, বাঘ এরূপ চতুষ্পদ প্রাণীদের। মতাে মানুষে মানুষে দৈহিক গঠনে কোনাে পার্থক্য দেখা যায় না। প্রাণীদের মধ্যে স্ত্রী, পুরুষ, বর্ণ, শারীরিক গঠন, ললাম, চঞ্চু প্রভৃতিতে পার্থক্য আছে। মানুষে মানুষে তেমন পার্থক্য দেখা যায় না। মূলত, জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, বুদ্ধিমত্তা, বিচারশক্তি, আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে মানুষে মানুষে অথবা জাতিতে জাতিতে তেমন কোনাে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। বুদ্ধের সময়কালে কন্যা সন্তানের জন্ম কাম্য ছিল না। সংযুক্ত নিকায়ের কোসল সংযুক্ত পাঠে জানা যায় যে, রাজমহিষী মল্লিকাদেবী কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন শুনে কোশলরাজ প্রসেনজিত খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়েন।

বুদ্ধ জানতে পেরে রাজসমীপে উপস্থিত হয়ে রাজা প্রসেনজিতকে বললেন, কন্যা সন্তানের জন্ম হেতু কারও দুঃখ পাওয়া উচিত না; কন্যা যদি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন, ধর্মপ্রাণ, সংসারের প্রতি দায়িত্বশীল হয়, তাহলে কন্যা সন্তান পুত্ৰাপেক্ষা শ্রেয়সী হবার যােগ্যতা রাখে। এমনকি এই কন্যা সন্তান রত্নগর্ভাও হতে পারে। তার গর্ভজাত সন্তান ভবিষ্যতে মহৎ কার্য। সম্পন্ন করতে পারে এবং সুবিশাল রাজ্যের অধিশ্বর হতে পারে। বুদ্ধের বাণী শুনে রাজা প্রসেঞ্জিত কন্যা সন্তানের জন্মকে শুভ বলে মেনে নেন। বুদ্ধের সময়কালে এরূপ অনেক ধরনের বৈষম্য প্রচলিত ছিল। বুদ্ধ সাম্যনীতির মাধ্যমে তথাকথিত সামাজিক বৈষম্যগুলাে দূরীভূত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অনাদিকাল থেকেই মানুষ সমাজে সাম্যনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছে। বুদ্ধই প্রথম সমাজে সাম্যনীতি প্রয়ােগের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন।

মূল্যায়ন রুব্রিক্স

অতি উত্তম:

১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা

২. তথ্য, ধারণা ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকের সাথে সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ।

৩. লেখার সৃজনশীলতা ও নিজস্বতা ৪. সঠিক বানান ও বাক্য গঠন ঠিক থাকা

উত্তম:

১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা

২.তথ্য ধারণা অধিকাংশই পাঠ্যপুস্তকের সাথে সংগতিপূর্ণ

৩, সঠিক বানান ও বাক্য গঠন ঠিক থাকা

ভালো:

১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব।

২. তথ্য , ধারণা আংশিকভাবে সংগতিপূর্ণ

৩, লেখায় আংশিক মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা।

৪. সঠিক বানান ও বাক্য গঠন ঠিক থাকা

অগ্রগতি প্রয়ােজন:

১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতার অভাব

২. তথ্য , ধারণা পাঠ্যপুস্তকের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়

DSHE Assignment 2021

Leave a Reply