মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সুপরিচিতি ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশ। যার ফলে প্রতি বছর এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করে বাঙালি জাতি। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
এর মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে নতুন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশের ন্যায় ভারতবর্ষেও এই দিনটিতে বিজয় দিবস হিসেবে উৎযাপন করা হয়। চলুন আজ আমরা ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের ইতিহাসসহ জেনে এই দিনটিকে আনন্দের সাথে উপভোগ করি।
৫০ বছর পূর্তি উৎসব
২০২১ সালে এসে ১৬ ডিসেম্বর কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে উৎযাপিত হচ্ছে। আজ স্বাধীনতা ৫০ বছর হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। যার মধ্যে রচনা, গান, কবিতা, স্লোগান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা রয়েছে। মহান বিজয় দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। এই দিনে পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, জাতীয় সঙ্গীত, দেশাত্ববোধক গান গাওয়া, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে বিজয় দিবস উৎযাপন
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের এই ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। ৩০ লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবময় দিন।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রচনা
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। তাই এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের এই আয়োজন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, দেশ স্বাধীন করার ইতিহাস, পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ, বাংলাদেশের স্বীকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ে রচনা লিখতে হবে। আমরা বাঙালি হিসেবে আমাদের দেশের ইতিহাস কতটুকু জানি বা কিভাবে জানতে পারবো।
মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত নানা ধরনের বই রচনা করা হয়েছে। যা পাঠের মাধ্যমে একজন মানুষ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। বিজয় দিবসে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে রচনা লিখার সময় এই পয়েন্ট গুলো উপস্থাপন করলে ভাল নম্বর অর্জন করা সম্ভব। বিজয় দিবস রচনার পয়েন্ট গুলো হলো ভূমিকা, বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক পটভূমি, বিজয় দিবসের তাৎপর্য, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়,পরবর্তী বাস্তবতা, আমাদের প্রত্যাশা, উপসংহার
বিজয় দিবসের কবিতা
লাল সবুজের স্মৃতি ঘেড়া নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,
হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাঁই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,
আর হবেনা শোষন এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
মহান বিজয় দিবসের স্লোগান
জয় বাংলা মহান বিজয় দিবসের স্লোগান। ‘জয় বাংলা,বাংলার জয়’ গান গেয়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছে ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস গান
জ্বলে উঠো বাংলাদেশ
গরজে উঠো বাংলাদেশ
স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ব জয়ের
যাও তুমি এগিয়ে যাও হাও হাও
জ্বলে উঠো বাংলাদেশ
গরজে উঠো বাংলাদেশ
কোটি প্রাণের আশা
পুরোন কোরে দাআআও
লাল সবুজের বিজয় নিশান
হাতে হাতে ছোড়িয়ে দাও
তোমার জন্য রইল সবার
অনেক শুভ কামনা
চোখের কোলে দিচ্ছে উঁকি
বিজয়ের সম্ভবনা।
বিজয় দিবস চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
শেষ কথা
আজ মহান বিজয় দিবস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলে শেষ করা যাবে।